Skip to content

আমার সোনার বাংলা ০ জেমস

তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়
আছো সরোয়ার্দী,শেরে ­বাংলা, ভাসানীর শেষ ইচ্ছায়
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন,
তুমি ছেলে হারা মা জাহানারা ঈমামের একাত্তরের দিনগুলি
তুমি জসীম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ, মুঠো মুঠো সোনার ধুলি,
তুমি তিরিশ কিংবা তার অধিক লাখো শহীদের প্রান
তুমি শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর, ভাই হারা একুশের গান।

আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো,
তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে,
বড় বেশী ভালোবাসি।

তুমি কবি নজরুলের বিদ্রোহী
কবিতা উন্নত মম শীর
তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাতশ্রেষ্ট বীর
তুমি সুরের পাখি আব্বাসের, দরদ ভরা সেই গান
তুমি আব্দুল আলীমের সর্বনাশা পদ্মা নদীর টান।
তুমি সুফিয়া কামালের কাব্য ভাষায় নারীর অধিকার
তুমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের, শাণীত ছুরির ধার
তুমি জয়নুল আবেদীন, এস এম সুলতানের রঙ তুলীর আঁচড়
শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নতুন দেখা সেই ভোর।

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে,
বড় বেশী ভালোবাসি।

তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়
তুমি বাঙ্গালীর গর্ব, বাঙ্গালীর প্রেম প্রথম ও শেষ ছোঁয়ায়,
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন
তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ সুমধুর,
তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামের সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর
তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার অভিমানের সংসার
তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ মিনার।

আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো,
তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে,
বড় বেশীভালোবাসি।

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে” – আর্টসেল

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে,
সময় আমার কাটে না।
চাঁদ কেন আলো দেয় না? পাখি কেন গান গায় না?
তার কেন পথ দেখায় না? তুমি কেন কাছে আস না।।

সমুদ্রের ঝড়ো হাওয়া বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়,
পাখির মৃদু কন্ঠে বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়।
এ শরৎ-এর সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না।
ঘাসফুল কেন ফোটে না? ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় না? মেঘের ভেলায় ভাসি না?
হেসে তুমি কেন আসোনা?

ঝরে যাওয়া সব অশ্রু বলে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়,
হৃদয়ে যত অনুভূতি আছে তারা তোমাকে চায়, তারা তোমাকে চায়।
এ বসন্তের-ই সন্ধ্যায় তুমি নেই বলে সময় আমার কাটে না।
ফুলগুলি কেন হাসে না? হৃদয় দোলা দেয় না? আবেশে জড়ায় না।
তুমি কেন কাছে আসোনা?

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে,
সময় আমার কাটে না।
চাঁদ কেন আলো দেয় না? পাখি কেন গান গায় না?
তার কেন পথ দেখায় না? তুমি কেন কাছে আস না?

একটা ভালোবাসি – রিকল

যখন নিঝুম রাতে
সব কিছু চুপ,
নিষ্প্রাণ নগরীতে
ঝিঝিরাও ঘুম।
আমি চাঁদের আলো হয়ে,
তোমার কালো ঘরে
জেগে রই সারা নিশি।
এতটা ভালবাসি….

এ কি অপরূপ সুন্দর
তার স্বপ্নের বর্ষা রাতে
আমি ভিজে ভিজে মরি
মিছে মগ্ন প্রভাতে…

দেখি ভিষণ অন্ধকার মাঝে
আলো ছায়ায় তার নূপুর বাজে!
আমি যে ভেবে ভেবে শিহরিত…

আমি সূর্যের আলো হয়ে
তোমার চলার পথে
ছায়া হয়ে তোমায় দেখি
এতটা ভালবাসি।
হুম….. এতটা ভালবাসি….

“মেঘমিলন – তানজীব ও সোমা

♪শীতল বাতাসে দেখেছি তোমায় 
মেঘমিলনে চেয়ে রাগ করো না 
মন চাই তোমায় আজই রাতে
রাতেই ……রাতেই………।।

বৃষ্টি তো থেমেছে অনেক আগেই 
ভিজেছি আমই একাই 
আসতো যদি এই বিভীষিকা 
খুঁজেও পেতে না আমায় 
মেঘমিলনে চেয়ে রাগকরো না 
মন চাই তোমায় আজই রাতে
রাতেই…রাতেই………

ঝুম ঝুম পাতালি হাওয়া সাথী 
খুজেছি শুধুই তোমায় 
পিছাতে পারে নি ঝড়ো হাওয়া
খুঁজে নিয়েছি তোমায় 
ভুলে গিয়েছি মন শত অভিমান
মন চাই তোমায় কাছে পেতে 
মেঘমিলনে চেয়ে রাগকরো না 
মন চাই তোমায় আজই রাতে
রাতেই…রাতেই………।।

একা পাখি – শিরোনামহীন

একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়।।

আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু।

পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়,
ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা,
তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা।

কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে
তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে
তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত
ব্যস্তজন কথা
আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।

দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি…… তোমার পিছু।

“সে যে বসে আছে একা একা – অর্নব

সে যে বসে আছে একা একা
রঙ্গীন স্বপ্ন তার বুনতে,
সে যে চেয়ে আছে ভরা চোখে
জানালার ফাঁকে মেঘ ধরতে।
তার গুণগুণ মনে গান বাতাসে ওড়ে
কান পাতো মনে পাবে শুনতে,
তার রঙের তুলির নাচে মেঘেরা ছোটে
চোখ মেলো যদি পারো বুঝতে।

সে যে বসে আছে একা একা
তার স্বপ্নের কারখানা চলছে,
আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল
বৃষ্টি নামার তাল গুনছে।

তার গুণগুণ মনের গান বৃষ্টি নামায়
টপটপ ফোঁটা পড়ে অনেকক্ষণ,
সেই বৃষ্টিভেজা মনে দাগ দিয়েছে
ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন।

সে যে বসে আছে … সে যে বসে আছে
সে যে বসে আছে … সে যে বসে আছে।

যদি হিমালয় হয়ে – খালিদ

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, এ হৃদয়ে, সে কিছু নয়
শত আঘাতেও নিঃস্ব যে আজ, তার আবার হারানোর ভয়।।

কি ভুলে আমি এত, সয়েছি যে ব্যথা,
কি করে ভুলেছি অতীতের কথা।
জানতেও পারবেনা কেউ তা।।

প্রশ্ন করো না, কেন হৃদয়
দুঃখের হিমালয়,
প্রশ্ন করো না, ভিসুভিয়াস
এ বুকে কেন জ্বলে রয়।।

বেহাগের সুরে, সুখ গিয়ে দূরে, আসে অশুভ বারতা
কি ভুলে আমি এত সয়েছি ব্যথা, কি করে ভুলেছি অতীতের কথা।
জানতেও পারবেনা কেউ তা।।

দল বেধে সব, দুঃখ আসে
মৌন প্রেমের সর্বনাশে,
ভোরের শিশির শুকোবে জেনেই
তপ্ত রোদ হাসে।

বেহাগের সুরে, সুখ গিয়ে দূরে, আনে অশুভ বারতা।
কি ভুলে আমি এত, সয়েছি এ ব্যথা, কি করে ভুলেছি অতীতের কথা।
জানতেও পারবেনা কেউ তা।।

“গাইবো না আর কোন গান – সুমন ও অনিলা

দিয়েছিলে যা, নিয়ে নিতে পারো
লেখা কবিতা, গাওয়া গান যত,
খুঁজে দেখ না, পাবে না কেউ আমার মত
মুছে দিও না শুধু হৃদয় ক্ষত।

গাইবো না আর কোন গান
তোমায় ছাড়া
লিখবো না আমি আর
তুমি হীনা কবিতা ।।

নিজেকে আমি বুঝিনি কখনো
ছিলেনা যখন আসনি তখনও,
এলে সেখানে, অজানা যা ছিল মন
আমার মাঝে আজ আমি আলোকিত।

গাইবো না আর কোন গান
তোমায় ছাড়া
লিখবো না আমি আর
তুমি হীনা কবিতা ।।

“যত দূরে -ওয়ারফেইজ

চুপচাপ চারিদিক মাতাল এক হাওয়া
পাখিদের কোলাহলে মন যে হারায়,
হঠাৎ দেখি তোমাকে অচেনা ছায়ায়
আমারই স্বপ্নে আঁকা এ যে তুমি।
নিঃশব্দে এলে তুমি আমারই ভূবনে
গোধূলী হয় রবে তুমি আমারই চিরকাল।

যতদূরেই থাকো রবে আমারই
হারিয়ে যেওনা কখনো তুমি।

কতকাল রয়েছি তোমারই পথ চেয়ে
কতরাত কেটেছে তোমারই আশাতে
ও… কতকাল রয়েছি তোমারই পথ চেয়ে
কতরাত কেটেছে তোমারই আশাতে

যতদূরেই থাকো রবে আমারই
হারিয়ে যেওনা কখনো তুমি।।

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো- লুতফর হাসান

ময়লা টি-শার্ট, ছেঁড়া জুতো
কদিন আগেই ছিল মনেরই মতো,
দিন বদলের টানা-পোঁড়েনে
সখের ঘুড়ি নাটাই সুঁতো।
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়?

তোমার নিকট অতীত
আমার এক যুক আগের শীত
পৃথিবী তোমার অনুকূলে থাকে
আমার বিপরীত
তো্মার ছোট্ট চাওয়া
আমার বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া
তারপর একা ঘরে
মন জড়োসড়ো
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়?

তোমার রোদেলা শহর
আমার রংচটা রং-এর ঘর
জানালা তোমার অভিমূখে খোলা
দেয়াল নড়বড়
তোমার একটু ছোঁয়া
আমার স্বপ্নকে খুঁজে পাওয়া
তারপর ঘুমভাঙ্গা চোখ জড়োসড়ো।
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়?